বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের তালিকা.

 


বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন
 হলো বাংলাদেশে সব ধরনের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত একটি আন্দোলন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার  কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন সংঘটিত হয়। এর মধ্যে ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতের খবর পাওয়া যায়। এই আন্দোলনের পক্ষে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং বিপক্ষে রয়েছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাধীন বাংলাদেশ সরকার, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সমমতাবলম্বী সংগঠনসমূহ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে এই পর্যন্ত ২০৯ জনেরও অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন|

 

পক্ষ দল ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নিহতদের তালিকা

1.     আবু সাঈদ (২২) — বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন[২]

2.     মো. ফারুক — একটি আসবাবের দোকানের কর্মচারী ছিলেন[৩]

3.     ওয়াসিম আকরাম — চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন[৩]

4.     ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২৪) — ওমরগনি এম.ই.এস কলেজের ছাত্র ছিলেন[৪]

5.     মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ - বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর (বিইউপি) ছাত্র[৫]

6.     তাহির জামান প্রিয়- সাংবাদিক[৫]

7.     রিদোয়ান শরীফ রিয়াদ - টঙ্গী সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী[৫]

8.     শেখ ফাহমিন জাফর (১৮) - টঙ্গী সরকারি কলেজে এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। সুত্র- ২০ জুলাই ২০২৪ ইং (শনিবার) দৈনিক প্রথম আলো, উত্তারা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের তথ্য

9.     মো. শাহজাহান (২৫) — তিনি নিউমার্কেট এলাকার হকার ছিলেন[৬]

10.সিয়াম (১৮) — তিনি গুলিস্তানের একটি ব্যাটারির দোকানের কর্মচারী ছিলেন[৭]

11.আসিফ ও সাকিল — নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। [৮][৯][১০][১১]

12.দিপ্ত দে — মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী[১২][১৩]

13.দুলাল মাতবর — গাড়ি চালক[১৩]

14.ফারহান ফাইয়াজ — ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র[১৪]

15.ইয়ামিন — মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির[১৫]

16.মো. জিল্লুর শেখ — ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ[১৬]

17.শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন — মিরপুর এমআইএসটির কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী[১১]

18.হাসান মেহেদী — নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস[১৭]

19.রিয়া গোপ (৬) — বাসার ছাদে খেলতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়[১৮]

20.সাফকাত সামির (১১) — একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী[১৯]

21.আবদুল আহাদ (৪) - বাসার বারান্দায় বাবা মায়ের সামনেই গুলিবিদ্ধ হন এবং পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন[২০]

22.রাকিব হাসান (১২) - রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আইটিজেড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। [২১]

23.তাহমিদ তামিম (১৫) — নরসিংদী শহরের নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমসের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী[১১]

24.মো. ইমন মিয়া (২২) — শিবপুরের সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের শিক্ষার্থী[১১]

25.হৃদয় চন্দ্র তরুয়া (২২) - চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী[২২]

26.মো. ফয়েজ (৩২) - স্যানিটারি মিস্ত্রির (পাইপ ফিটার) কাজ করতেন[২৩]

27.মাহামুদুর রহমান (১৯) - ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের মাথায় (মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকে) সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হন[২৪]

28.ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির - সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী[২৫]

29.রনি প্রামাণিক (২৮) - ব্যাটরিচালিত অটোরিকশা চালাতেন[২৬]

30.রাকিবুল হাসান (২৭) - প্রকৌশলী হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। [২৭]

31.মোবারক(১৩) - গাভির দুধ বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। ক্রেতাদের বাসায় দুধ পৌঁছে দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন[২৮]

32.নাইমা সুলতানা (১৫) - ঢাকার মাইলস্টোন কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। [২৮]

33.হোসেন মিয়া (১০) - পপকর্ন, আইসক্রিম ও চকলেট ফেরি করত[২৯]

34.মো. আলমগীর হোসেন - ঢাকার রামপুরা এলাকায় একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে গাড়িচালকের চাকরি করতেন[৩০]

35.নুর আলম (২২) - নির্মাণশ্রমিক[৩১]

36.আবু সায়েদ (৪৫) - ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় ছোট একটি মুদিদোকান চালাতেন[৩২]

37.শেখ শাহরিয়ার বিন মতিন - ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার আইডিয়াল কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি[৩৩]

38.ইমরান খলিফা (৩৩) - গুলশান-২-এর চারুলতা নামের একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন[৩৪]

39.জসিম উদ্দীন (৩৫) - উত্তরায় একটি অটোমোবাইলসের দোকানে চাকরি করতেন[৩৫]

40.সাব্বির হোসেন - জ্বর হওয়ায় অসুস্থ শরীরে ওষুধ কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন[৩৬]

41.ইফাত হোসেন (১৬) - যাত্রাবাড়ীর এ কে হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। [৩৭]

42.মিজানুর রহমান ওরফে মিলন (৪৮) - ঢাকার নর্দা এলাকায় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন[৩৮]

43.মোস্তফা জামান ওরফে সমুদ্র (১৭) - চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসা শাখা থেকে জিপিএ-৪.৯৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় সে[৩৯]

44.মো. রাসেল (১৫) - নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। [৪০]

45.জাকির হোসেন (৩৮) - ভীমবাজার এলাকায় ‘কাজী ভিআইপি গার্মেন্টস’ নামের একটি কারখানায় উৎপাদন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন[৪১]

46.আবদুল্লাহ আল আবির (২৪) - নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন[৪২]

47.রিদওয়ান হোসেন সাগর - ১৯ জুলাই ময়মনসিংহে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন

 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post