উত্থান ও শাসন
শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হন এবং পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে 'পরিবর্তনের সনদ' উপস্থাপন করেন। তবে সময়ের সাথে সাথে তার শাসন একনায়কত্বে পরিণত হয়। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেন, সংবাদমাধ্যমের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন এবং বিরোধী দলগুলোর প্রতি অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করেন।
পতনের কারণ
একগুঁয়েমি ও অহংকার: শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন, যা তার একগুঁয়েমি ও অহংকারের পরিচায়ক ছিল।
প্রতিক্রিয়াশীল দমননীতি: আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করেন, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ও প্রাণহানি ঘটায়। সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
জনবিচ্ছিন্নতা: দুর্নীতি, অর্থ পাচার এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। রাজনৈতিকভাবে একা হয়ে পড়েন কারণ ১৪-দলীয় জোটের বাইরে অন্য সব দল বিরোধী অবস্থান নেয়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অবনতি: ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরপর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও তীব্র হয়। ফলে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়েন।
পতনের পরিণতি
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও তীব্র হয় এবং গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। দেশ ছাড়ার আগে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করেন এবং সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন।
Post a Comment